সংবাদবিজ্ঞপ্তি।। ৯ জুন কালো দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৮৮ সালের এ দিনে আইনে পরিণত হওয়া রাষ্ট্রধর্ম বিল সংবিধানে সংযোজনের বিরোধিতা করে তৎকালীন ৮,৭ ও ৫ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে এর পরদিন সারা দেশে অর্ধদিবস হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করলেও আজকের দিনে এ ব্যাপারে তাদের রহস্যজনক নীরবতা রাজনীতিতে দ্বি-চারিতারই ইঙ্গিত বহন করে।
পল্টন টাওয়ারস্থ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। আলোচ্য বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী। প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, সভাপতিম-লীর সদস্য কাজল দেবনাথ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তাপস কুমার পালসহ বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ, শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ও আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
বক্তারা এ মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে কার্যতঃ ঠুটো জগন্নাথে পরিণত করেছে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এহেন সাংবিধানিক সাম্প্রদায়িকতা রাষ্ট্র, রাজনীতি, প্রশাসন শুধু নয় সমাজকেও কলুষিত করেছে। এর সুযোগ পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করছে অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলো, যার বিষময় ফলশ্রুতি গোটা দেশ ও জাতিকে বহন করতে হবে।
সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ ৭২-র সংবিধান অবিকৃতভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি তুলে বলেন, অন্যথায় গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে যা দেশপ্রেমিক কারো কাম্য হতে পারেনা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ, যুব ঐক্য পরিষদ, আইনজীবী ঐক্য পরিষদ, শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, মহিলা ঐক্য পরিষদ, সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।