গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বড়গাঁও বাজার এলাকায় একটি দুর্গা মন্দিরে ছয়টি প্রতিমা ভেঙে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এটি করেছে, তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে প্রতিমা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার মুক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও বাজারে একটি সর্বজনীন দুর্গা মন্দির রয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মন্দিরে প্রবেশ করে ছয়টি প্রতিমার হাত, পা ও মাথা ভেঙে ফেলে। পরে প্রতিমার গায়ে থাকা কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেখে বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে আজ শনিবার সকালে কালীগঞ্জ পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রণয় কুমার দাস, বড়গাঁও দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি নেপাল বাবু, কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান, কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কালীগঞ্জ পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রণয় কুমার দাস জানান, এলাকার দুই শতাধিক পরিবার ওই মন্দিরে দীর্ঘ দিন ধরে পূজা করে করে আসছে। এর আগে এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমন ঘটনায় এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বড়গাঁও দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি নেপাল বাবু সাংবাদিকদের জানান, ‘শুক্রবার রাতে বাজারের পাহারাদারের কাছ থেকে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়ে মন্দিরে গিয়ে দেখি কে বা কারা মন্দিরের দুর্গা মূর্তিসহ ৬টি প্রতিমা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, মন্দিরটি খুবই অরক্ষিত অবস্থায় আছে। যার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে মন্দিরটির অবকাঠামো আরও উন্নত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্দির ও পাশের বাজারের জমি নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।