ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি হিন্দু বাড়িতে ফের আগুন দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মালিক এ ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করলেও জলন্ত সিগারেট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একই উপজেলায় এ নিয়ে তিনটি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ঝাপড়তলি গ্রামের আনন্দ চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মফিদার রহমান জানান।
এর আগে গত শুক্রবার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহপাড়া গ্রামে কৃষ্ণ ঘোষের এবং চারদিন পর আখানগর ইউনিয়নের মধ্যঝাড়গাঁও গ্রামের যাত্রু বর্মণের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মফিদার বলেন, “খবর পেয়ে তাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।কিন্তু ততক্ষণে বাড়ির দুইটি ঘর পুড়ে যায়।”
জলন্ত বিড়ি বা সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, “আগুনে আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
ঘটনার বর্ণনায় বাড়ির মালিক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ১০টার কিছুক্ষণ পর দেখি আমার ঘরে আগুন জ্বলছে এবং আশপাশ থেকে পেট্রোলের গন্ধ আসছে। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে দুটো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।”
“একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা যেন ভোট দিতে যেতে না পারি এজন্য কেউ পরিকল্পিতভাবে পেট্রোল দিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কারণ এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা যেন ভয় পায় ও আতঙ্কিত হয়।”
আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ নিয়ে আমার এলাকার দুটো হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়া হলো।”
যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে তাদের দমন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে আমরা তা তদন্ত করা হচ্ছে।জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Link : BDNews24 Link