অভিজিৎ কুমার দাস,গাইবান্ধা।। ৫ নভেম্বর।। আজ ৫ নভেম্বর দুপুর ১২টার গাইবান্ধা শহরের নাট্য সংস্থার সামনে ৭ দফা দাবিতে সাঁওতাল হত্যা দিবস পালিত হয়। সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ এর যৌথ উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে শোক মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ২০১৬ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষে নিহত তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবিসহ ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের জেলা আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা,আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, গোলাম রব্বানী মূসা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সাঁওতালরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ইপিজেড এর নাম করে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের উচ্ছেদ করা চলবে না। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ ও তিন সাঁওতাল হত্যাকান্ডের বিচার আজও করতে পারেনি সরকার। এসময় তারা রংপুর চিনিকলে দেওয়া সাঁওতালদের বাবা-দাদার সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, বাবা-দাদার সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার আন্দোলনে ২০১৬ সালে আমাদের তিন জন সাঁওতাল নিহত হয়েছেন। কিন্তু, আজও আমরা তার বিচার পাচ্ছি না। এই হত্যাকান্ডের ছয় বছর হতে চলল, অথচ এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সমাবেশের পরিসমাপ্তিতে আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের জেলা আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল বাবু সাঁওতাল স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
সমাবেশ শেষে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ ও তিন সাঁওতাল হত্যাকান্ডের স্মরণে একটি শোক মিছিল গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান শহর প্রদক্ষিণ করে।