Constitution

গঠনতন্ত্র

১. নামকরণ :
এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ”, ইংরেজিতে Bangladesh Hindu Buddhist Christian Unity Council, (BHBCUC).

২. প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা :
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে এই সংগঠনের প্রধান কার্যালয় অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে।

৩. কর্মক্ষেত্র :
সমগ্র বাংলাদেশে এই পরিষদের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত থাকবে। বহির্বিশ্বেও এর শাখা বা চ্যাপ্টার ও অঙ্গ সংগঠন গড়ে তোলা যাবে।

৪. প্রতীক :
লালবৃত্তের উপরিভাগে উড়ন্ত সাদা পায়রা যার অভ্যন্তরে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’ লেখা থাকবে। লালবৃত্ত সংগ্রামের প্রতীক আর উড়ন্ত সাদা পায়রা শান্তির প্রতীক।

৫. পতাকা :
সংগঠনের পতাকায় ওপর থেকে ক্রমান্বয়ে সাদা, লাল ও সবুজ রঙ একই মাপে সমান্তরালভাবে থাকবে। সাদা শান্তির, লাল সংগ্রামের আর সবুজ জাতীয়তাবোধের প্রতীক। পতাকার আয়তন হবে ৫ : ৩।

৬. উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চল ও সমতলভূমিতে বসবাসরত হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নাগরিকদের ঐক্যবাহী একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সকল জনগোষ্ঠীর ঐক্য ও সংহতি রক্ষা, ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যবোধের স্বীকৃতি, সকল মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিকাশের পরিপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ; বৈষম্য, বঞ্চনা ও সাম্প্রদায়িকতার অবসান, আদিবাসীসহ অনগ্রসর জনগণের ওপর শোষণ, নির্যাতন ও বৈষম্যের অবসান, সামাজিক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ গঠন এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম-মর্যাদা ও সম-অধিকারের  ভিত্তিতে সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা-ই হবে এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।

পাকিস্তানি দ্বি-জাতিতত্ব, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্বৈরাচার, শোষণ ও অপশাসনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক আন্দোলন এবং যার চূড়ান্ত পরিণতি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যে নজিরবিহীন ঐক্য ও সমতাবোধ গড়ে উঠেছিল এবং যা সমগ্র দেশবাসীকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করেছিল, সে চেতনা পুণঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই এই সংগঠন কাজ চালিয়ে যাবে।

৭. সদস্যপদ :
ক) সদস্য হওয়ার যোগ্যতা : সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যে বিশ্বাসী বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব সুস্থ যে কোনও পুরুষ ও মহিলা এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন।
খ) সদস্য হওয়ার পদ্ধতি : সদস্য হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে সংগঠনের নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে তাকে সাধারণ সদস্যপদ দেওয়া হবে।
গ) সদস্যপদের চাঁদা : সাধারণ সদস্যপদের  জন্যে নির্ধারিত ১০ (দশ) টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে। এই চাঁদা তিন বছরের জন্যে সদস্যচাঁদা হিসেবে পরিগণিত হবে। পরবর্তীতে নির্ধারিত চাঁদা প্রদানপূর্বক সদস্যপদ নবায়ণ করা যাবে।
ঘ) সদস্যপদের সূচনা : ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড শাখার কাছ থেকে সদস্যপদ লাভ করা যাবে। ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড শাখা না থাকলে ঊর্ধ্বতন শাখা দায়িত্ব পালন করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ হতে সকল সদস্যপদের অনুমোদন নিতে হবে।

ঙ) সদস্যপদ বাতিল :
(১) ইউনিয়ন/ওয়ার্ড থেকে জেলা/মহানগর পর্যন্ত কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উত্থাপিত হলে তদ্সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন  কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা বা মহানগর কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যপদ বাতিলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর জন্যে অন্যুন ৭(সাত) দিনের নোটিশ প্রদানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।  অংগ সংগঠনের সদস্যের ক্ষেত্রেও অনুরূপ নীতি প্রযোজ্য হবে।
(২) কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনবিরোধী কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তা যথাযথ তদন্তক্রমে সদস্যপদ বাতিলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর জন্যে অন্যুন ৭(সাত) দিনের নোটিশ প্রদানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।

৮. অঙ্গ সংগঠন :
ক) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আটটি অঙ্গ সংগঠন থাকবে। যথা :
১) বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ
২) বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ
৩) বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ
৪) বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ
৫) বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ
৬) বাংলাদেশ পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ
৭) বাংলাদেশ ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ
৮) বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদ

অঙ্গ সংগঠনসমূহ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অনুরূপ আদর্শ ও লক্ষ্যে সংগঠিত হবে এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে। অঙ্গ সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো ও নীতিমালা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি স্থির করে দেবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংশ্লিষ্ট সম্পাদকগণ অঙ্গ সংগঠনসমূহের কার্যাবলীর তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধন করবেন। অঙ্গ সংগঠনসমূহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সংশ্লিষ্ট সম্পাদকদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। অঙ্গ সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাঁদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের যৌথভাবে মনোনীত প্রতিনিধি  নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে জাতীয় বর্ধিত সভায় প্রতিনিধিত্ব করবেন।

খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর কেউই অঙ্গ সংগঠনসমূহের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না। তবে এসব সংগঠনের সদস্যপদে বা উপদেষ্টা হিসেবে থাকতে পারবেন। প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের ক্ষেত্রেও অনুরূপ নীতি প্রযোজ্য হবে।

৯. বিদেশে শাখা :

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী নাগরিকরা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী  কমিটির অনুমোদনক্রমে বিদেশে শাখা কমিটি বা চ্যাপ্টার গঠন করতে পারবেন। বাংলাদেশী বংশো™ু¢ত যেকোনও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসী নাগরিক শাখা কমিটির বা চ্যাপ্টারের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। বিদেশে গঠিত শাখা কমিটি বা চ্যাপ্টার জেলা কমিটির মর্যাদা পাবে। এ কমিটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির কাছে সম্পূর্ণরূপে দায়বদ্ধ থাকবে।

১০. প্রাথমিক সদস্যচাঁদা বিভক্তি :
প্রাথমিক সদস্যচাঁদা হিসেবে প্রদত্ত ১০(দশ) টাকার মধ্যে ৫(পাঁচ) টাকা ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটি, ৩(তিন) টাকা জেলা ও মহানগর কমিটি এবং অবশিষ্ট ২(দুই) টাকা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি পাবে।

১১. সাংগঠনিক কাঠামো :

ক) উপদেষ্টা পরিষদ : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অনূর্ধ্ব ১০১(একশ এক) সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের আদর্শে বিশ্বাসী যে কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী কিংবা চিন্তাবিদকে উপদেষ্টা মনোনীত করবে। এই মনোনয়নের মেয়াদ হবে তিন বছর। অনুরূপভাবে জেলা বা মহানগর পর্যায়ে অনূর্ধ্ব ৭১ সদস্যবিশিষ্ট, উপজেলা বা পৌরসভা বা  থানা  পর্যায়ে অনূর্ধ্ব ৫১ সদস্যবিশিষ্ট এবং ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে অনূর্ধ্ব ৩১ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদ সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না, তবে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ সম্পাদককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন এবং আহুত হলে উপদেষ্টাবৃন্দ বিভিন্ন সভায় যোগ দেবেন।
খ) জাতীয় কাউন্সিল : জাতীয় কাউন্সিল এই সংগঠনের সর্ব্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্য, জেলা বা মহানগর কমিটি থেকে মনোনীত ৫ জন সদস্য এবং উপজেলা বা পৌরসভা বা থানা পর্যায় থেকে মনোনীত ৩ জন সদস্য নিয়ে জাতীয় কাউন্সিল গঠিত হবে। জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও থানা থেকে মনোনয়নের সময় তিন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব যতদূর সম্ভব নিশ্চিত করতে হবে। ন্যুনতম এক-পঞ্চমাংশের উপস্থিতিতে জাতীয় কাউন্সিলের সভার কোরাম হবে। জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যরাই জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে গণ্য হবেন। জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলী, সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী নির্বাচিত হবেন। সভাপতিমন্ডলীতে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তিনজন সভাপতি থাকবেন। তাঁরা পালাক্রমে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) কেন্দ্রীয় কমিটি : অনূর্ধ্ব ২৯১জন সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে। জাতীয় কাউন্সিলের নির্ধারিত নীতিমালা ও দিকদর্শন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি কার্য পরিচালনা করবে। সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী এবং দেশের প্রতিটি জেলা বা মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সদস্য করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হবে। এছাড়া আরো কিছু সদস্য থাকবেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৩(তিন)জন সভাপতিসহ পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসংখ্যা হবে ৩৫ এবং সাধারণ সম্পাদকসহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যসংখ্যা হবে ৪৫। এছাড়া সম্পাদকমণ্ডলীর সহ সম্পাদক থাকবেন ৩১ জন। কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি ৬মাসে একবার ঢাকায় বৈঠকে মিলিত হবে।
ঘ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি : সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ও সহ-সম্পাদকমণ্ডলী নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। সংগঠনের বিধিমালা প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে। সভাপতিমণ্ডলী বা সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে যে কোন একজন সদস্য কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রতি ৩ মাসে একবার বৈঠকে মিলিত হবে। এক-পঞ্চমাংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।

ঘ. (১) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর দায়িত্ব নি¤েœাক্তভাবে বন্টন করা হবে :
(১) সাধারণ সম্পাদক     ১ জন
(২) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক   ৯ জন
(৩) সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন
(৪) অর্থবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(৫) দপ্তর সম্পাদক        ১ জন
(৬) প্রচার সম্পাদক        ১ জন
(৭) গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(৮) আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক   ১ জন
(৯) যুববিষয়ক সম্পাদক   ১ জন
(১০) ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক         ১ জন
(১১) আইনবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১২) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১৩) শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৪) তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৫) প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক     ১ জন
(১৬) ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৭) সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৮) আদিবাসীবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(১৯) শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক        ১ জন
(২০) রাজনীতিবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(২১) পেশাজীবী সম্পাদক ১ জন
(২২) প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন

প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো যাবে।

কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।

ঙ) স্থায়ী কমিটি : সাংগঠনিক ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে একটি স্থায়ী কমিটি গঠিত হবে। তিন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, রাজধানীতে বসবাসরত সভাপতিমণ্ডলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ এই কমিটির সদস্য থাকবেন। কমিটি প্রয়োজন অনুযায়ী সভায় মিলিত হবে। তবে এ সভায় কোনও কোরামের প্রয়োজন হবে না।

চ) জেলা বা মহানগর কমিটি :

জেলা বা মহানগর কমিটির সদস্যসংখ্যা হবে ১০১জন। এর মধ্যে

(১) সভাপতি     ১ জন
(২) সভাপতিমণ্ডলী         ৬ জন
(৩) সাধারণ সম্পাদক     ১ জন
(৪) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৫ জন
(৫) সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ জন
(৬) অর্থবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(৭) দপ্তর সম্পাদক        ১ জন
(৮) প্রচার সম্পাদক        ১ জন
(৯) গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(১০) যুববিষয়ক সম্পাদক          ১ জন
(১১) ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক          ১ জন
(১২) আইনবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১৩) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১৪) শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৫) তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৬) প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক     ১ জন
(১৭) ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৮) সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৯) আদিবাসীবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(২০) শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক        ১ জন
(২১) রাজনীতিবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(২২) পেশাজীবীবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(২৩) প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক     ১ জন

এছাড়া আরো ২১ জনকে সহসম্পাদক পদে মনোনীত করা যাবে।
অবশিষ্ট ৪৬ জনকে সদস্য করে জেলা বা মহানগর কমিটি বিন্যস্ত থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো যাবে। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।

ছ) উপজেলা বা পৌরসভা বা থানা কমিটি : উপজেলা বা পৌরসভা বা থানা কমিটির সদস্যসংখ্যা হবে ৭১ জন। এর মধ্যে

(১) সভাপতি     ১ জন
(২) সভাপতিমণ্ডলী         ৪ জন
(৩) সাধারণ সম্পাদক     ১ জন
(৪) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক          ৩ জন
(৫) সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
(৬) অর্থবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(৭) দপ্তর সম্পাদক        ১ জন
(৮) প্রচার সম্পাদক        ১ জন
(৯) গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক    ১ জন
(১০) যুববিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১১) ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক          ১ জন
(১২) আইনবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১৩) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক       ১ জন
(১৪) শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৫) তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক      ১ জন
(১৬) প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক     ১ জন
(১৭) ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৮) সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৯) শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(২০) পেশাজীবীবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(২১) প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন

এছাড়া আরো ১৭ জনকে সহ সম্পাদক পদে মনোনীত করা যাবে। অবশিষ্ট ২৮ জনকে সদস্য করে উপজেলা বা পৌরসভা বা থানা কমিটি বিন্যস্ত থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো যাবে। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।

জ) ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটি : ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটির সদস্যসংখ্যা হবে ৫১ জন। এর মধ্যে
(১) সভাপতি ১ জন
(২) সভাপতিমণ্ডলী ২ জন
(৩) সাধারণ সম্পাদক ১ জন
(৪) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১ জন
(৫) সাংগঠনিক সম্পাদক ১ জন
(৬) অর্থবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(৭) দপ্তর সম্পাদক ১ জন
(৮) প্রচার সম্পাদক ১ জন
(৯) গণসংযোগবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১০) যুববিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১১) ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১২) আইনবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৩) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৪) শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক  ১ জন
(১৫) তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৬) প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৭) ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৮) সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(১৯) শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(২০) পেশাজীবী বিষয়ক সম্পাদক ১ জন
(২১) প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ১ জন

এছাড়া আরো ১৭ জনকে সহসম্পাদক পদে মনোনীত করা যাবে। অবশিষ্ট ১২ জনকে সদস্য করে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটি বিন্যস্ত থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদকীয় পদ বাড়ানো যাবে। কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটি সংগঠনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

ঝ) ইউনিয়ন/ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যগণ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। প্রয়োজনবোধে উপ-কমিটিও করা যেতে পারে।

১২. কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত সদস্যদের ক্ষমতা ও কার্যপরিধি :
ক) সভাপতি : কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাতীয় কাউন্সিল, কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের যেকোনও ধারার উপরে রুলিং দিতে পারবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে আলোচনাক্রমে সভাপতি বিষয় নির্ধারণী কমিটি গঠন করবেন। সভাপতির আদেশানুযায়ী সাধারণ সম্পাদক কোনও সভা আহ্বান না করলে সভাপতি তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে যে কোন সভা আহ্বান করতে পারবেন। ভোটের মাধ্যমে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সভাপতি ভোটদানে বিরত থাকবেন। তবে, সমানসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্রে সভাপতি তার নির্ণায়ক ভোট প্রদান করবেন।
খ) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য : সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে সভাপতি কর্তৃক যার ওপর দায়িত্ব অর্পিত হবে তিনি সে দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন এবং তাদের ওপর সময়ে সময়ে কার্যনির্বাহী কমিটি বা স্থায়ী কমিটি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) সাধারণ সম্পাদক : সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় সকল সদস্যের কার্যাবলীর যথাযথ তদারকি ও সমন্বয় সাধন করবেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা দেবেন। সকল প্রকার নোটিশ ও যোগাযোগ সাধারণ সম্পাদক করবেন। তিনি যে কোন সভায় বিষয়সূচী নির্ধারণ ও আলোচ্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন এবং সংগঠনের যাবতীয় সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। বিভিন্ন কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সাধারণ সম্পাদক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রতিটি জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের পক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন এবং সকল সভার কার্যবিবরণী সঠিকভাবে সংরক্ষণ করবেন।
ঘ) সম্পাদকমণ্ডলী : সম্পদাকমণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্ব পালন ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। বিভাগীয় সম্পাদকগণ তাদের স্ব স্ব বিভাগীয় কাজের প্রয়োজনে সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা ও পরামর্শক্রমে সভা আহ্বান করতে পারবেন। এসব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে পরবর্তী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর কমিটির সভায় অবহিত করতে হবে। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সাধারণ অবস্থায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের কার্যপরিচালনায় যথাযথভাবে সহায়তা করবেন। ছাত্র, যুব, মহিলা, আইন, শিক্ষা, পেশাজীবী, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকগণ স্ব স্ব দায়িত্বের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঙ্গ সংগঠনের সাথে সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক : সাংগঠনিক সম্পাদকগণ সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ অনুযায়ী সংগঠনের সাংগঠনিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
চ) অর্থবিষয়ক সম্পাদক : অর্থবিষয়ক সম্পাদক সংগঠনের আয়-ব্যয়ের হিসাবপত্রসহ সকল আর্থিক বিবরণী যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ ব্যতীত কোনও অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত সদস্যদের ক্ষমতা ও কার্যপরিধি শাখা কমিটিসমূহ ও পরিষদের অপরাপর অঙ্গসংগঠনসমূহকে যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

১৩.  এ্যাডহক কমিটি গঠন :
যে কোন পর্যায়ের কমিটি নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হলে ঊর্ধ্বতন কমিটি অধঃস্তন কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে তৎপরবর্তী নব্বই দিনের জন্য এ্যাডহক কমিটি গঠন করবে। উক্ত এ্যাডহক কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষেত্রে ৩১ জন, জেলা বা মহানগরের ক্ষেত্রে ২১ জন, উপজেলায় বা থানায় বা পৌরসভার ক্ষেত্রে ১১ জন এবং ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ৭ জনের সমন্বয়ে গঠিত হবে। উক্ত এ্যাডহক কমিটি নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনে বাধ্য থাকবে। এ্যাডহক কমিটি সম্মেলন করতে ব্যর্থ হলে ঊর্ধ্বতন কমিটি উপরোক্ত নিয়মানুযায়ী আবারো নতুনভাবে এ্যাডহক কমিটি গঠন করে সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। শাখা কমিটিসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট শাখার উর্ধ্বতন কমিটির অন্যুন ২ জন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ঊর্ধ্বতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পর্যবেক্ষক কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্মেলন পরবর্তী ১৫(পনের)দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের নিমিত্তে তদ্সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কমিটি কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনতন্ত্রের নির্দেশিত সময়ের জন্যে সাংগঠনিক যাবতীয় কার্য পরিচালনা করতে বাধ্য থাকবে।

১৪. ব্যাংক হিসাব পরিচালনা :
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্তক্রমে যে কোন তফসিলী ব্যাংকের শাখায় ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’-র নামে ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। কোষাধ্যক্ষ ও অর্থসম্পাদক- এই দু’জনের যে কোনও একজনের সাথে সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।

শাখা কমিটিসমূহের ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে যে কোনও একজনের সাথে অর্থ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।

১৫. নির্বাচন পদ্ধতি :
ক) কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে সম্মেলনে নতুন কমিটি গঠনের প্রাক্কালে বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি গঠন করতে হবে।

(১) কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন : বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ উপদেষ্টামণ্ডলী, সভাপতিমণ্ডলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্য থেকে অনূর্ধ্ব ৩১ সদস্যকে নিয়ে বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। প্রস্তাবিত বিষয় নির্ধারণী কমিটি জাতীয় কাউন্সিল থেকে অনুমোদিত হতে হবে। বিষয় নির্ধারণী কমিটি  বা সাবজেক্ট কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে মনোনয়ন না নির্বাচন তা স্থির করবে এবং তদনুযায়ী মনোনয়ন বা নির্বাচন পরিচালনা সম্পন্ন করবে।

(২) জেলা বা মহানগর কমিটি গঠন : বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব (যদি থাকে), প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি বা থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং এসব পদে যদি বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের (যদি থাকে) কেউ না থাকে তবে বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব (যদি থাকে) কর্তৃক যৌথভাবে মনোনীত এই তিন সম্প্রদায়ের যোগ্য প্রতিনিধির সমন্বয়ে বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। প্রস্তাবিত বিষয় নির্ধারণী কমিটি কাউন্সিল থেকে অনুমোদিত হতে হবে।  উপজেলা বা পৌরসভা বা থানা কমিটির নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন এবং জেলা বা মহানগর কমিটির সকল নির্বাহী সদস্য জেলা বা মহানগর সম্মেলনের কাউন্সিলর হিসেবে  নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি পারস্পরিক সমঝোতা না গোপন ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করবে তা তাঁরাই ঠিক করবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মনোনীত ন্যুনতম ২ জন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটিতে উপস্থিত থাকবেন। তবে তাঁদের কোনও ভোটাধিকার থাকবে না।

(৩) থানা বা উপজেলা/পৌরসভা কমিটি গঠন : বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব (যদি থাকে), প্রতিটি ওয়ার্ড/ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং এসব পদে যদি বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা আদিবাসী সম্প্রদায়ের কেউ না থাকে তবে বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব (যদি থাকে) কর্তৃক যৌথভাবে মনোনীত এই তিন সম্প্রদায়ের যোগ্য প্রতিনিধির সমন্বয়ে বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। প্রস্তাবিত বিষয় নির্ধারণী কমিটি কাউন্সিল থেকে অনুমোদিত হতে হবে।  ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন এবং থানা বা উপজেলা/পৌরসভা কমিটির সকল নির্বাহী সদস্য থানা এবং উপজেলা/পৌরসভা সম্মেলনের কাউন্সিলর হিসেবে  নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বিষয়-নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি পারস্পরিক সমঝোতা না গোপন ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করবে তা তারাই ঠিক করবেন। মহানগর বা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মনোনীত ন্যুনতম ২ জন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অধঃস্তন কমিটির বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটিতে উপস্থিত থাকবেন। তবে তাঁদের কোনও ভোটাধিকার থাকবে না।

(৪) ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন : বিদ্যমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্মেলনে উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত ৫ জন সদস্য নিয়ে মোট ১১ সদস্যবিশিষ্ট বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটি গঠিত হবে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করে সর্বসম্মতভাবে বা বিষয় নির্ধারণী কমিটির সদস্যদের সংখ্যাধিক্যের মতামতের (ভোটের) মাধ্যমে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি গঠনকালে থানা বা উপজেলা/পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মনোনীত ২ জন প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের অধঃস্তন কমিটির বিষয় নির্ধারণী কমিটি বা সাবজেক্ট কমিটিতে উপস্থিত থাকবেন। তবে তাঁদের কোনও ভোটাধিকার থাকবে না।

খ) প্রত্যেক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্য মনোনয়নে বা  নির্বাচনে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব যথাসম্ভব নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সমন্বয় কমিটি গঠন :
সাংগঠনিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের জন্যে প্রত্যেকটি বিভাগে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি থাকবে। বিভাগের অধীনস্থ সকল সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সমন্বয় কমিটির সদস্য হবেন। বিভাগীয় সদরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

১৭. গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন :
সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত দু’-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদনক্রমে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের যে কোন ধরণের পরিবর্তন, সংশোধন বা সংযোজন করা যাবে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ খ্রি.-র বর্ধিত সভায় অনুমোদিত
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় দফতর
দারুস সালাম আর্কেড
১৪ পুরানা পল্টন ৯ম তলা (লিফট- ৮), ঢাকা-১০০০
ই-মেইল : নযনপড়ঢ়@ুধযড়ড়.পড়স
ওয়েবসাইট :http://bhbcop.org