মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সুপ্রভাত।
আপনার সরকারের সকল সফলতা ব্যর্থ করার জন্য একটি অপশক্তি নির্বাচন কে সামনে রেখে আবার তৎপর হচ্ছে।
একটু ভেবে দেখবেন কি? সর্বনাশী সব আয়োজন চলছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন নিয়ে বিতর্কিত বিধিমালা সংযুক্ত করে নতুন সংশোধিত আইন আসছে। এটা খসরা আকারে এখন আইন মন্ত্রনালয়ের সেকশন চার এ আছে। জানা গেছে খসরা বিধিমালার ৪ নং ধারায় সরকারি, বেসরকারি,আধাসরকারি,স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় ১৫ বছরের বেশী সময় কর্মরত কর্মচারীদের গঠিত সমবায় সমিতিকে অর্পিত সম্পত্তি বহুতল ভবন নির্মানের জন্য জমি স্থায়ী ভাবে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আর লুকোচুরি কত?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামনে নির্বাচন, তাই একশ্রেণীর আমলা ও একটি অপশক্তি যারা সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে আছে তারা আমাদের প্রিয় আওয়ামীলীগ সরকারকে বিতর্কিত ও বেকায়দায় ফালানোর জন্য সব ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। সে কথা ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। এই ধারা বাস্তবায়িত হলে জমির প্রকৃত উত্তরাধিকারসহ নিরীহ হিন্দু জন গোষ্ঠী কে বঞ্চিত করা হবে। সম্পত্তির অধিকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
জাতির জনক বংগবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সেখানে এই কালা কানুন বাস্তবায়িত হবার কোন সুযোগ নেই। দেশে এখনো ২ কোটি হিন্দু জনগোষ্ঠী এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত। নির্বাচনে এদের ব্যাপক ভূমিকা থাকবে।
আইন ড্রাফটিং প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আইনজীবী, ভুক্তভোগী সহ ক্ষেত্র মতে যে পেশাজীবীদের দরকার তাদের অন্তভুর্ক্ত করা খুব বেশি প্রয়োজন, না হলে এরকম অবাঞ্ছিত ধারা সংযুক্তির অপ্রয়াস চলতে থাকবে।
সৌমিত্র সরদার পিকলু
ব্যারিস্টার-এট-ল
এডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট।
ও
কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ আইন সমিতি।